গতকাল রাতে সাভারের আশুলিয়ায় চলন্ত বাস থেকে এক যাত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ঈদযাত্রায় বাড়ি ফেরার বদলে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ঠাঁই হয়েছে ওই যাত্রীর। এরই মধ্যে ওই বাসের সুপারভাইজার আব্দুল মজিদ (৫০) ও চালকের সহকারী মানিককে (৪৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।তবে, বাসচালক ইউসুফ (৩২) এখনও পলাতক। এদিকে অভিযোগ উঠেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় ঢাকামুখী তুহিন পরিবহণের বাস থেকে জহিরুল ইসলাম জহির নামের ওই যাত্রীকে ফেলে দেওয়া হয়। পরে গুরুতর আহত হলে তাঁকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
এরপরই গতকাল দিবাগত রাতে ভুক্তভোগীর পরিবার বাদী হয়ে বাসের তিন জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ ঘটনায় তুহিন পরিবহণের দূরপাল্লার বাসটি জব্দ করা হয়েছে। জানা যায়, ভুক্তভোগী জহিরুল ইসলাম জহির চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার বাসিন্দা। তিনি ব্যবসায়িক কাজে আশুলিয়ার জিরানীতে বসবাস করছিলেন।হাসপাতালে মৃত্যুশয্যায় থাকা জহিরের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ঈদ উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামগামী ওই বাসটিতে প্রথম যাত্রী হিসেবে উঠেছিলেন জহির। বাসে ওঠার পরই সন্দেহ হয় তাঁর। যেকোনো মুহূর্তে ছিনতাইয়ের শিকার হতে পারেন, এমন আশঙ্কায় জহির বাস থেকে নেমে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকে বাধা দেন বাসের সুপারভাইজার ও চালকের সহকারী।
এক পর্যায়ে চলন্ত বাস থেকেই ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয় তাঁকে। এরপর গুরুতর আহত হলে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান আশপাশের লোকজন। এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ আল মামুন বলেন, পুলিশ বাসের সুপারভাইজার ও চালকের সহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে, চালক পলাতক রয়েছেন।